হেল্পআদারবিডি- সাক্ষর ফাউন্ডেশনের একটি অলাভজনক ঋন দান প্রতিষ্ঠান। আমরা হালাল লোন বা কর্জে হাসানায় বিশ্বাসী। আমরা পারস্পরিক কল্যাণে বিশ্বাসী এই বিশ্বাসকে ধারণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ঝাঁক তরুন যুবক নব্বইয়ের দশকের শুরুতে ঢাবির আমতলায় গড়ে তোলে “সাক্ষর ফাউন্ডেশন”।
এর মূল কাজ শিক্ষা গবেষণা ও নিরক্ষতা দূরীকরণ। নিরক্ষরতা দূরীকরণের পাশাপাশি তাদের রয়েছে বিনাসূদে ঋন দান কর্মসূচি।
ইসলামি পরিভাষায় যাকে “কর্জে হাসানা” বলা হয়। আল্লাহ বলেন ইয়াক্বিরিদ্বুল্লাহা ক্বারদ্বান হাসানাহ” আল্লাহর জন্য কর্জে হাসানা দাও।কর্জে হাসানাহ ইসলামী অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ পরিভাষা।এর উদ্দেশ্য হলো মানুষকে কর্মমুখী করে তোলা।
সাধারণ দান সদকা অনেক সময় মানুষকে অলস করে তোলে।একজন ভিক্ষুক আজীবন ভিক্ষুকই রয়ে যায় কারণ কী সে হাত পাতাকেই তার কর্ম মনে করে।অথচ নবীজি স. ভিক্ষাবৃত্তিকে নিরুৎসাহিত করেছেন।
নবীজির আমলে জনৈক ব্যক্তি সাহায্যের জন্য আসলে তিনি সাহায্য না দিকে তার কম্বল বিক্রি করে কুঠার কিনে কাঠ বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা করেছিলেন।
কবির ভাষায় ” কম্বল তাহার সম্বল খানি বেঁচিয়া তাহার করে/ অর্ধেক দাম দিলেন রাসুল খাদ্য কিনিবার তরে।বাকী অর্ধেকে কুড়াল কিনি হাতল লাগায়ে তায়/ বনেতে পাঠিয়ে দিলেন কাঠ কাটিবার আশায়….
আমরা চাই আমাদের পাশের প্রতিটি মানুষ কর্মঠ হয়ে দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাক।হেল্প আদার বিডি ডট কম সেই কাজেই সহযোগিতা করছে। আপনিও আমাদের সাথে সহযোগিতার হাত বাড়াতে পারেন। হয় সহায়তা দিন অথবা সহায়তা নিন। আসুন লেনা দেনার মাধ্যমে আমরা কল্যানের পথে পারস্পরিক সহযোগিতা করি। “তা’আওয়ানা আলাল বির্রে ওয়াত্তাক্বওয়া” কল্যাণ এবং শুভ কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা করে আল্লাহর বানীকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করি।
নজরুল গীতি
সুদ হারাম
সাইমুম সাদী
5 জুলাই, 5:25 PM-এ · #কর্জে_হাসানাহ_কী? কর্জ মানে হলো ঋণ, ধার। আর হাসানাহ্ অর্থ হলো উত্তম। উভয়ে মিলে অর্থ হয় উত্তম ঋণ। এটি দান, অফেরতযোগ্য ঋণ, সুদবিহীন ঋণ এ তিনটি অর্থে ব্যবহৃত হয়। আমাদের এ প্রস্তাবনায় তৃতীয় অর্থটিকেই আমরা নিচ্ছি।কাউকে ঋণ দেওয়ার পর তার উপর অতিরিক্ত কোনো কিছু গ্রহণ না করাই হলো কর্জে হাসানাহ। পক্ষান্তরে কাউকে ঋণ দেওয়ার পর তার উপর অতিরিক্ত কোনো কিছু গ্রহণ করাই হলো সুদ। সুতরাং বলা যায় সুদ ও কর্জে হাসানাহ বিপরীতমুখী দুটি বিষয়। সুদের বিপরীত কর্জে হাসানাহ। আর কর্জে হাসানাহর বিপরীত সুদ।#কর্জে_হাসানাহ_প্রজেক্ট_কী? সুদকে প্রতিরোধ করতে হলে কর্জে হাসানাহর ব্যাপক প্রচলন করতে হবে। মানুষ প্রয়োজনের সময় বিনাসুদে কর্জ না পেলেই সুদে টাকা ধার নেয়। বিনা সুদে কর্জ পেলে কেউ সুদি টাকা নেওয়ার কথা নয়।বড়ো বড়ো ব্যাবসায়িক লোন হয়তো আমরা সামাজিক উদ্যোগে এ মুহূর্তে দিতে পারব না। কিন্তু ছোটো প্রয়োজনে মানুষ যে সুদি টাকা নেয়, সেটা আমরা একটু উদ্যোগ নিলেই রোধ করতে পারি; অন্তত সীমিত করতে পারি। আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী তা করতে আমরা আমাদের দ্বীনের প্রতি দায়বদ্ধও।তাই ছোটো পরিসরে কর্জে হাসানাহ সহযোগিতা দেওয়ার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রচেষ্টাই কর্জে হাসানাহ প্রজেক্ট।#কর্জে_হাসানাহ_প্রজেক্ট_কোথায়_করবেন? বড়ো পরিসরে প্রজেক্ট চালানো যেহেতু সম্ভব নাও হতে পারে, তাই ছোটো ছোটো পরিসরে প্রজেক্ট করা যায়। যেমন :১.মসজিদ কেন্দ্রিক কর্জে হাসানাহ : মসজিদের ইমাম বা কোনো মান্যজনকে প্রধান করে কর্জে হাসানাহ প্রজেক্ট করা যায়। যেখান থেকে ওই মসজিদকেন্দ্রিক মহল্লার অধিবাসীরা কর্জে হাসানাহ পাবে।২. বন্ধুদের নিয়ে কর্জে হাসানাহ : বন্ধুদের সার্কেলে তাদের অনুদান ও তাদের প্রয়োজনে কর্জে হাসানাহ প্রজেক্ট করা যায়।৩. পারিবারিক প্রজেক্ট : ভাইবোন, বাবা-চাচাদের নিয়ে পারিবারিক হাসানাহ ফান্ড করা যায়। কারও জরুরি ও তাৎক্ষণিক প্রয়োজনে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এখান থেকে কর্জ নিতে পারবে। বিশেষত মুরব্বিদের চিকিৎসার জন্য এ ফান্ড খুবই উপকার দেবে।৪. সামাজিক কর্জে হাসানাহ প্রজেক্ট : একটু বিস্তৃত পরিসরের হাসানাহ প্রজেক্ট হলো সামাজিক প্রজেক্ট। এখানে পরিচিত অনেকে মিলে এ প্রজেক্ট গঠিত হবে। নতুন নতুন অনুদান দাতারা এখানকার সদস্য হতে পারবে। এবং সদস্য ও সদস্যদের জিম্মাদারিতে যে কেউ এখান থেকে কর্জে হাসানাহ সহায়তা পাবে।আমাদের আলোচ্য হাসানাহ প্রজেক্ট মূলত সামাজিক কর্জে হাসানাহ প্রজেক্টকে সামনে রেখে।#কার্যক্রম_কী_হতে_পারে? যেহেতু বড়ো পরিসর ও ফান্ড গঠন কঠিন। তাই সীমিত পরিসরে এ কার্যক্রম রাখা যেতে পারে—- ছাত্রদের ফরম ফিলাপ, ভর্তি সহযোগিতা, চিকিৎসা, খাদ্যদ্রব্য সংকট ইত্যাদির জন্য কর্জ দেওয়া#ফান্ড_গঠনঃফান্ড গঠন কীভাবে হবে— এটা জরুরি প্রশ্ন। আমরা তার সম্ভাব্য একটি প্রস্তাবনা দিচ্ছি : ১. কর্জে হাসানাহ প্রজেক্টে স্বেচ্ছাসেবা দিতে আগ্রহীরা হবে এ প্রজেক্টের সদস্য। সদস্যরা প্রত্যেকে বছরে কমপক্ষে ৫০০- ১০০০৳ দান করবে (কমবেশি হতে পারে)। সদস্যদের দান হবে প্রজেক্টের প্রাথমিক ফান্ড। এর অতিরিক্ত কেউ দিতে চাইলে নেয়া হবে। হিসাব লিখিতভাবে থাকবে নির্দিষ্ট স্থায়ী খাতায়।২. কোন সুধীজন যদি স্বেচ্ছায় বিনাশর্তে অনুদান দেয় তাও ফান্ডের অংশ হবে।৩. সদস্য/সুধী যদি কোন পরিমাণ টাকা কমপক্ষে একবছর পর ফেরত নেয়ার শর্তে প্রজেক্টের জন্য ব্যবহারের শর্তে জমা রাখতে চায় তাও ব্যবহার করা যাবে। কর্জ প্রদান নীতিকর্জ প্রদানে প্রয়োজন সুস্পষ্ট নীতিমালা। যা হতে পারে : ১. সর্বোচ্চ দুইমাস পর ফেরত দেবেন শর্তে সদস্য, সদস্যদের কারও পরিচিত ও আস্থাভাজন ব্যক্তিকে কর্জ দেয়া যাবে। বাইরের কাউকে কর্জ দিতে হলে যেকোনো একজন সদস্যকে জামিন হতে হবে।২. আপাতত প্রতি ব্যক্তির জন্য কর্জের পরিমাণ হবে সর্বোচ্চ ৩০০০৳।৩. একবার ঋণ নেয়ার পর তা ফেরত না দেয়া পর্যন্ত ঐ একই ব্যক্তিকে পুনরায় ঋণ দেয়া হবে না।৪. ঋণ গ্রহণের সময় ব্যক্তির নাম, ঠিকানা, মোবাইল নাম্বার, ন্যাশনাল আইডি নাম্বার, ঋণের পরিমাণ, গ্রহণ ও ফেরতের তারিখ সম্বলিত ফরম পূরণ করতে হবে। জরুরি ক্ষেত্রে ফোনে বলেও পূরণ করা যেতে পারে। (ফরমটি এত বেশি জটিলতাপূর্ণ ও অতি তথ্য সম্বলিত হওয়া উচিত নয়, যাতে কর্জগ্রহিতা বিব্রত বোধ করে।) ঝুঁকি প্রদত্ত কর্জের কিছু অংশ হয়ত অনেক সময় আদায় হবে না; কারো কারো আর্থিক সমস্যা বা ওয়াদা খেলাফের কারণে। এতে আমাদের ধৈর্যশীল হতে হবে, এবং নিন্মোক্ত আয়াত থেকে শিক্ষা নিতে হবে। এটার জন্য হতাশ হওয়া যাবে না।“যদি সে ঋণ গ্রহণকারী দরিদ্র হয়, তবে স্বচ্ছল অবস্থা আসা পর্যন্ত অবকাশ দিবে আর মা‘ফ করে দেয়া তোমাদের পক্ষে অতি উত্তম, যদি তোমরা জানতে!” সূরা বাকারা : ২৮০কোনো গ্রহিতা সত্যি সত্যিই যদি অভাব বা চরম অসুবিধার কারণে ঋণ পুরো বা অংশবিশেষ ফেরত দিতে অক্ষম হয়, তা হলে তাকে ব্যাকআপ ফান্ড থেকে সহযোগিতা করা। যেন কোনোভাবেই কর্জে হাসানাহ ফান্ড ক্ষতিগ্রস্থ না হয়।ব্যাকআপ ফান্ড কী? কর্জে হাসানাহ প্রজেক্টের একটি ব্যাকআপ ফান্ড থাকবে। ব্যাকআপ ফান্ড গঠিত হবে যাকাত দিয়ে। সদস্য বা সদস্যদের পরিচিত জনদের কেউ কেউ যাকাতের অংশবিশেষ ব্যাকআপ ফান্ডে দেবে।ব্যাকআপ ফান্ড থেকে ঋণফেরত দিতে অসমর্থ ব্যক্তির পক্ষ থেকে কর্জে হাসানাহ ফান্ডে ঋণফেরত দেওয়া হবে। কেননা যাকাতের একটি খাত হচ্ছে ঋণগ্রস্থ ব্যক্তির ঋণ আদায় করা। এক্ষেত্রে ঋণগ্রহিতাকে জানাতে হবে, আপনাকে যাকাত থেকে ঋণমুক্ত করা হচ্ছে। ব্যক্তি যদি যাকাত নিতে রাজি হয় তবে তা করা হবে। যাকাত নিতে রাজি না হলে তা পরিশোধ করা হবে না। বরং তার কাছ থেকে প্রয়োজনে সময় বৃদ্ধি করে হলেও আদায় করা হবে।পরিচালনা প্রজেক্টের সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে ৫জন বিশিষ্ট একটি পরিচালনা পরিষদ ও একটি উপদেষ্টা পরিষদ সমন্বয়ে প্রজেক্ট পরিচালিত হবে। তিনজন আমানতদার সদস্যের নামে যৌথ একাউন্ট করে ফান্ড গঠন ও পরিচালিত হবে। সদস্যদের অনলাইন গ্রুপে নিয়মিত আপডেট জানানো হবে এবং যে কোন বিষয়ে সদস্যরা মতামত, পরামর্শ দিতে পারবেন, জবাবদিহি নিতে পারবেন।